পুরান ঢাকার কোতয়ালী থানাধীন ইসলামপুরে নাশওয়ান ফ্যাশন নামে মেয়েদের জামা বিক্রির একটি প্রতিষ্ঠান। ২০২২ সালে এখানে সেলসম্যান হিসাবে চাকরি নেয় সাঈদ আহমেদ।তার বাড়ি গাইবান্ধার সদর থানায়। ইতোপূর্বে চাকরি করেছেন রংপুরের বিভিন্ন কাপড়ের দোকানে। ঘরে দুই স্ত্রী। এরপরও রিতা নামে একজনের সঙ্গে পরকীয়া সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন। সিদ্ধান্ত নেন তৃতীয় বিয়ে করবেন। এজন্য রিতা নিয়ে পালিয়ে যাবেন সীমান্তের ওপারে।
শুক্রবার ও শনিবার ভালো বিক্রির ৩৩ লাখ টাকা জমা থাকে দোকানেরই লকারে। রবিবার সাঈদ আরেক কর্মচারীকে নিয়ে কাছাকাছি ঢাকা ব্যাংকে যায় টাকা জমা দিতে। পথিমধ্যে কর্মচারীকে দোকানে ফেরত পাঠিয়ে একাই প্রবেশ করে ব্যাংকে। ব্যাংকের মধ্যে কিছু সময় ঘোরাঘুরি করে ব্যাগ ভর্তি ৩৩ লক্ষ টাকা নিয়ে চলে যায় সোজা প্রেমিকার কাছে গাজীপুরে। সেখান থেকে প্রেমিকাকে নিয়ে যায় নরসিংদী। এরপর বগুড়ায়। বগুড়ায় কেনাকাটা করে পঞ্চগড়ের বাংলাবান্ধার তেঁতুলিয়া। আমোদ ফ‚র্তি করে দুই হাতে টাকা উড়াতে থাকে। সেখান থেকে প্রেমিকার বাড়ি ফরিদপুরের সদরপুরে। সোমবার রাতে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের লালবাগ বিভাগের একটি টিম অভিযান চালায়। ডিবি সাঈদ ও তার প্রেমিকা রিতাকে। তাদের দেয়া তথ্য থেকে ডিবি ট্রাঙ্ক ও মাটিতে গর্ত করে লুকিয়ে রাখা ৩১ লক্ষ ৮৭ হাজার ৫০০ টাকা উদ্ধার করে। গ্রেপ্তারকৃতরা জানায়, দোকান থেকে ৩৩ লাখ টাকা চুরি করে সীমান্তের ওপারে ভারতে চলে যাবে। ভারতে ওই টাকা দিয়ে তারা ব্যবসা-বানিজ্য করে স্থায়ি হবে।