ঝিনাইদহ জেলার ৪টি উপজেলায় সাব রেজিস্ট্রার নেই। এতে জমি কেনাবেচায় ভোগান্তিতে পড়েছে সাধারন মানুষ। সরকারও রাজস্ব হারাচ্ছে।
পুরানো সাব রেজিস্ট্রার অফিসের মধ্যে অন্যতম শৈলকুপা সাব রেজিস্টার অফিস। সাব রেজিস্ট্রার বদলী হয়ে যাওয়ার পর আর সাব রেজিস্ট্রার পোষ্টিং দেওয়া হয়নি। কুষ্টিয়ার খোকসা উপজেলা সাব রেজিস্ট্রারকে শৈলকুপার সাব রেজিস্টার হিসাবে অতিরিক্ত দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তিনি সপ্তাহে ২ দিন দলিল রেজিস্ট্রি করবেন। মহেশপুরের সাব রেজিস্ট্রার বদলী হওয়ার পর এখানে কোন সাব রেজিস্টাার নিয়োগ দেওয়া হয়নি। হরিণাকুন্ডুর সাব রেজিস্টার অতিরিক্ত দায়িত্ব হিসাবে জমি রেজিস্ট্রি করছেন। অনেক দিন হলো কোটচাঁদপুরেও সাব রেজিস্ট্রার নেই। হরিণাকুন্ডুর সাব রেজিস্ট্রার সপ্তাহে ২ দিন এ অফিসে অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করছেন। কালীগঞ্জ সাব রেজিস্ট্রারের পদ অনেক দিন শুন্য রয়েছে। ঝিনাইদহ সদর অফিসের সাব রেজিস্টার সপ্তাহে একদিন কালীগঞ্জের সাব রেজিস্টারের দায়িত্ব পালন করছেন।
জেলা রেজিস্ট্রার অফিস সুত্রে জানা যায়, গত বছর ঝিনাইদহ জেলায় ৬টি সাব রেজিস্ট্রার অফিসে প্রায় ৫০ হাজার দলিল রেজিস্ট্রি হয়। এ ছাড়াও নতুন আইন হয়েছে অংশীদারির জমি ভাগ বাটোয়ার দলিল ছাড়া রেজিস্ট্রি হচ্ছে না। এতেও জমি রেজিস্ট্রি কম হচ্ছে।
ঝিনাইদহ জেলা রেজিস্ট্রার সাব্বির আহমেদ বলেন, ৪টি উপজেলায় সাব রেজিস্ট্রার না থাকায় সমস্যা হচ্ছে। এ বিষয়ে উর্ধতন কর্তৃপক্ষকে জানারো হয়েছে। নতুন সাব রেজিস্ট্রার নিয়োগ হলে সমস্যা থাকবে না বলে তিনি জানান।