ঈদে ঘরমুখো মানুষের স্বাচ্ছন্দ্যে বাড়ি ফিরতে ট্রেনের অগ্রিম টিকিট আজ বিক্রি হবে ৬ এপ্রিলের। মোবাইল ফোন থেকে নির্ধারিত রেলসেবা অ্যাপস ব্যবহার করে সহজডটকমের মাধ্যমে সারাদেশের ৪৫ হাজার টিকিট বিক্রি হবে। যাত্রীদের টিকিট ক্রয় সহজলভ্য করতে পশ্চিমাঞ্চলে চলাচলরত সব আন্তঃনগর ট্রেনের টিকিট সকাল ৮টা থেকে এবং পূর্বাঞ্চলে চলাচল করা সব আন্তঃনগর ট্রেনের টিকিট দুপুর ২টা থেকে অ্যাপসের মাধ্যমে টিকিট বিক্রি শুরু হবে। এর আগে মঙ্গলবার যারা অগ্রিম টিকিট নিয়েছেন তারা আগামী ৫ এপ্রিল ভ্রমণ করতে পারবেন।
ঈদের অগ্রিম ও ফেরত যাত্রার শতভাগ টিকিট অনলাইনে বিক্রি হচ্ছে। যাত্রীরা ঈদের অগ্রিম যাত্রা ও ফেরত যাত্রার ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ একবার করে টিকিট ক্রয় করতে পারবেন। একজন যাত্রী সর্বাধিক চারটি টিকিট কিনতে পারবেন। এই টিকিট রিফান্ড করা যাবে না। এছাড়া আন্তঃনগর ট্রেনের সব আসন বিক্রি শেষে বরাদ্দকৃত সাধারণ শ্রেণির মোট আসনের ২৫ শতাংশ স্ট্যান্ডিং টিকিট স্টেশনের কাউন্টার থেকে বিক্রি করা হবে।
তবে ট্রেনে ঈদে ঘরে ফেরার অগ্রিম টিকিটের মধ্যে উত্তরাঞ্চলের ট্রেনগুলোর চাহিদা সবচেয়ে বেশি। অভিযোগ রয়েছে, সকাল ৮ টার দিকে অ্যাপসে টিকিট ছাড়ার ১ মিনিটের মধ্যে সকল টিকিট বিক্রি দেখায়। অনেকেই অ্যাপসে ঢুকে টিকিট বুকিং দেয়ার পর নির্ধারিত সময়ে ওই মোবাইল ফোনে ওটিপি নম্বর পাঠানো হয় না। ফলে ওই ব্যক্তি টিকিট কিনতে ব্যর্থ হন। উত্তরাঞ্চলের ট্রেনগুলোর মধ্যে রংপুর এক্সপ্রেস, লালমনি এক্সপ্রেস, কুড়িগ্রাম এক্সপ্রেস, নীলসাগর এক্সপ্রেস, চিলাহাটি এক্সপ্রেস, পঞ্চগড় এক্সপ্রেস, বনলতা এক্সপ্রেস, ধূমকেতু, সিল্কসিটি, পদ্মা, দ্রæতযান ও একতা এক্সপ্রেসের টিকিটের চাহিদা সবচেয়ে বেশি। ঢাকা থেকে উত্তরবঙ্গগামী সকল আন্তঃনগর ট্রেনের টিকিট এখন সোনার হরিণ। কোনো অবস্থাতেই মিলছে না টিকিট।
ভ‚ক্তভোগীদের অভিযোগ, অ্যাপসে টিকিট ছাড়ার আগে ভিআইপি ও রেলের পদস্থ কর্মকর্তাদের জন্য অন্তত ৩০ ভাগ টিকিট বøক করে রাখা হয়।
এদিকে, রেলে যাত্রীদের নিরাপদে ভ্রমণ করতে অগ্নি নিরাপত্তাসহ সার্বিক প্রস্তুতি শেষ করেছে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। যাত্রীদের নির্বিঘেœ প্লাটফর্মে প্রবেশ ও জনভোগান্তি এড়াতে কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন, বিমানবন্দর রেলওয়ে স্টেশন, ক্যান্টনমেন্ট স্টেশন এবং জয়দেবপুর জংশনে বাঁশের ব্যারিকেড তৈরি করা হয়েছে।