কিশোরগঞ্জের ভৈরবে মেঘনায় ট্রলার ডুবিতে আরও একজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। সোমবার দুপুরে পাঁচ বছর বয়সী রাইসুলের লাশটি ভেসে উঠে বলে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের কিশোরগঞ্জের উপসহকারী পরিচালক মোহাম্মদ এনামুল হক জানান।
এর আগে সকালে ট্রলার ডুবির ঘটনায় পুলিশ কনস্টেবল সোহেল রানা (৩৫) এবং ভৈরব পৌর শহরের আমলাপাড়া এলাকার বেলন দে’র (৩৮) মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
বিকালে উদ্ধার হওয়া রাইসুল পুলিশের কনস্টেবল সোহেল রানার ছেলে। কুমিল্লার দেবিদ্বার উপজেলার ফতেহাবাদ গ্রামের আবদুল আলিমের ছেলে সোহেল রানা স্ত্রী ও সন্তানদের নিয়ে কর্মরত ছিলেন ভৈরব হাইওয়ে থানায়। শুক্রবার মেঘনা নদীতে বেড়াতে বেড়িয়ে ট্রলার ডুবিতে চারজনেরই মৃত্যু হয়। শনিবার সোহলের স্ত্রী মৌসুমী আক্তার (২৫), রবিবার মেয়ে মাহমুদা সুলতানা ইভা (৭) এবং সোমবার সোহেল রানা (৩২) ও ছেলে রাইসুল ইসলামের (৫) মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
সোমবার মোট তিনটি মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এ নিয়ে এ দুর্ঘটনায় মোট নয়জনের মরদেহ উদ্ধার করা হলো।
ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তা এনামুল হক বলেন, এ দুর্ঘটনায় নিখোঁজ নিয়ে আর কোনো অভিযোগ নেই। তাই উদ্ধার অভিযান সমাপ্ত করা হয়েছে।
পুলিশ জানায়, শুক্রবার সন্ধ্যার দিকে ভৈরব ব্রিজের নিচ থেকে ইঞ্জিনচালিত ট্রলার নিয়ে মেঘনা নদীতে বেড়াতে বের হন কয়েকজন। ইফতারের আগ মুহূর্তে ট্রলারটি চরসোনারামপুর এলাকায় পৌঁছালে একটি বালুবোঝাই নৌযানের সঙ্গে ধাক্কা লেগে ডুবে যায়।