নারায়ণগঞ্জের বন্দর থানাধীন নবীগঞ্জে ব্যবসায়ী মনিরা বেগমকে কোন নোটিশ না দিয়ে উচ্ছেদ করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ বিষয়ে ক্ষতিগ্রস্থ মনিরা বেগম নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, বন্দর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও বন্দর থানার ওসির কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন।
নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের ২৪নং ওয়ার্ডের নবীগঞ্জ জনতা ব্যাংক শাখার বিপরীত পাশে এলাকায় ছাত্রলীগ নেতা সুজন ব্যবসায়ী মনিরাকে তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে জোর পূর্বক উচ্ছেদ করেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
এ ব্যাপারে সুজন বলেন, আমি অর্থ ঋণ আদালতে নিলাম এর মাধ্যমে ক্রয় করে সম্পত্তির মালিক হয়েছি।
এলাকার ব্যবসায়ীরা বলেন, কোন ব্যক্তি এক যুগেরও বেশি সময় ধরে ব্যবসায়িক কার্যক্রম পরিচালনা করলে তাকে লিখিত নোটিশ জারি করে অবগতের মাধ্যমে সময় নির্ধারণ করিয়া জানিয়ে দেওয়া উচিত ছিল। সুজন সে ব্যবস্থা না করে গত ১৫ মার্চ ছাত্রলীগ পরিচয় দানকারী অজ্ঞাতনামা ২০/২৫ জন সন্ত্রাসী বাহিনী দোকানে প্রবেশ করে মালামাল ভাংচুর করে রাস্তায় ফেলে দেয় ও নগদ ২ লক্ষ টাকা এবং একটি মোবাইল সেট লুটে নিয়ে যায়। এছাড়া মনিরা বেগমকে টেনে হিঁচড়ে শ্লীলতাহানি করে দোকান থেকে বের করে দেয়।
ভ‚ক্তভোগী মনিরা বেগম বলেন, ২০১৩ সালের ১৮ মে থেকে শফি প্লাজা ও ফাইভ ষ্টার সমিতির কাছ থেকে নন-জুডিশিয়াল ষ্ট্যাম্পের মাধ্যমে নগদ ৪ লাখ টাকা জামানত দিয়ে নবীগঞ্জ জনতা ব্যাংকের বিপরীত পাশের মার্কেটে দোকানটি চুক্তিনামা করেন তিনি। দোকানটি চুক্তিনামা করে দীর্ঘ এক যুগ ধরে ব্যবসা পরিচালনা করে আসছেন মনিরা বেগম।
ছাত্রলীগ নেতা সুজন বলেন, আমি নিলামে পাওয়ার পর আদালত থেকে আমাকে দখল বুঝিয়ে দিয়েছে। দখল বুঝিয়ে দেয়া অবস্থায় বন্দর থানার কিছু পুলিশ উপস্থিত ছিলেন।
মনিরা বেগম বলেন, আমি আমার ব্যবসায়িক মালপত্রের ক্ষতিপূরণ ও দোকান বরাদ্দকৃত চুক্তিনামার নগদ ৪ লক্ষ টাকা না পেলে স্বামী সন্তান নিয়া পথে বসতে হবে। আমি এর সুষ্ঠু বিচার চাই।