বেইলি রোডে আগুনের ঘটনায় নিহত হয় ৪৬ জন। ওই ঘটনার পর রাজধানীর বিভিন্ন রেস্তোরায় অভিযান চালিয়ে রেস্তোরা শ্রমিকদের গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এ পর্যন্ত কতজন শ্রমিককে গ্রেফতার করা হয়েছে তার তালিকা চেয়েছে হাইকোর্ট। আগামী এক মাসের মধ্যে ওই তালিকা আদালতে দাখিল করতে পুলিশের আইজিকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এক রিট আবেদনের প্রেক্ষিতে বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মো. আতাবুল্লাহর দ্বৈত হাইকোর্ট বেঞ্চ গতকাল বুধবার এই আদেশ দেন। এছাড়া রেস্তোরা শ্রমিকদের গ্রেফতার করাকে কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করা হয়েছে। চার সপ্তাহের মধ্যে পাঁচ বিবাদীকে এই রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
রেস্তোরা শ্রমিকদের গ্রেফতারের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট করেন সুপ্রিম কোর্টে আইনজীবী ব্যারিস্টার মাসুদ আর সোবহান। রিটের পক্ষে তিনি নিজেই শুনানি করেন। শুনানি শেষে হাইকোর্ট অন্তবর্তিকালীন আদেশ ও রুল জারি করে।
মাসুদ আর সোবহান সাংবাদিকদের বলেন, বেইলি রোডে আগুনের ঘটনার পর রেস্তোরায় অভিযান চালানো হয়েছে। কেন এই অভিযান। রেস্তোরা শ্রমিকরা এখানে কাজ করেন। সেই শ্রমিকের তো জানার কথা নয় এই ভবনের বা রেস্তোরার রাজউক বা ফায়ার সার্ভিসের অনুমোদন রয়েছে কিনা। যারা এ ধরনের ঘটনার জন্য প্রকৃত দায়ী এবং যাদের দায়িত্বে অবহেলা রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে কোন ধরনের আইনগত পদক্ষেপই নেয়নি সরকারি প্রতিষ্ঠঅনগুলো। রেস্তোরাগুলোতে অভিযান লোক দেখানো মাত্র। প্রকৃত সমস্যাকে পাশ কাটিয়ে যাওয়ার চেষ্টা। এতে করে ভবিষ্যতে কোন ফায়দা হবে না।