ভারত মহাসাগরে জলদস্যুদের কবলে পড়েছে বাংলাদেশের পতাকাবাহী একটি জাহাজ। জাহাজটির নাম এম ভি আবদুল্লাহ। জাহাজটির মালিক প্রতিষ্ঠান কেএসআরএম গ্রæপ। গতকাল মঙ্গলবার বেলা ১টায় জাহাজটি জলদস্যুদের কবলে পড়েছে বলে খবর জানতে পারে গ্রæপটি।
কেএসআরএম গ্রæপের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ক্যাপ্টেন মেহেরুল করিম জানান, জাহাজটি মোজাম্বিক থেকে কয়লা নিয়ে সংযুক্ত আরব আমিরাতে যাওয়ার পথে ভারত মহাসাগরে জলদস্যুদের কবলে পড়ে। জাহাজের ২৩ জন নাবিক নিরাপদে আছেন।
ঘটনাটি জানার পর তারা জাহাজের নাবিকদের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করছেন বলে মেহেরুল করিম জানিয়েছেন।
সংশ্লিষ্ট অপর একটি সূত্র জানায়, জলদস্যুরা সোমালিয়ান বলে ধারণা করা হচ্ছে। সোমালিয়া থেকে প্রায় ৫০০ নটিক্যাল মাইল দূরে জলদস্যুরা কিভাবে আসলো এটা নিয়ে ভাবছে সশ্লিষ্টরা। জলদস্যুরা জাহাজটির নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে বলেও ধারণা করা হচ্ছে।
এদিকে জাহাজটিকে জলদস্যুদের হাত থেকে মুক্ত করতে সব ধরনের আন্তর্জাতিক রীতিনীতি অনুসরণ করা হচ্ছে বলে সংশ্লিষ্ট একটি সূক্র থেকে জানানো হয়েছে।
এই জাহাজটি গত বছর সংগ্রহ করে কেএসআরএম গ্রæপ। ২০১৬ সালে তৈরি জাহাজটি লম্বায় ১৯০ মিটার। কেএসআরএম গ্রæপের বহরে যুক্ত হওয়ার পর সাধারণ পণ্য পরিবহন করে আসছিল জাহাজটি।
উল্লেখ করা যেতে পারে ২০১০ সালের ৫ ডিসেম্বর সোমালিয়ার জলদস্যুদের হাতে ২৬ জন বাংলাদেশি নাবিকসহ একই প্রতিষ্ঠানের বাংলাদেশের পতাকাবাহী জাহাজ এমভি জাহান মনি ছিনতাই হয়েছিলো। প্রায় ৩ মাস পর মুক্ত হয়ে জাহাজটি সোমালিয়া থেকে ওমানের সালালা বন্দরে রওয়ানা হয়৷ মধ্যমার্চে সেখানে পৌঁছে বিভিন্ন আনুষ্ঠানিকতা শেষে জাহাজটি বাংলাদেশে ফিরেছিলো ২০১১ সালের আগস্টে। ঐ জাহাজটিতে ২৬ জন নাবিকের মধ্যে একজন মহিলাও ছিলেন।