বিমানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মো.শফিউল আজিম বলেছেন, বিশ্বে পরিচিতি বাড়ছে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের। চলতি বছরের ডিসেম্বরে ঢাকা-নিউইয়র্ক বিমানের সরাসরি ফ্লাইট পরিচালনার প্রস্তুতি চলছে। আগামী ২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবসেই বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস ঢাকা- রোম ফ্লাইট চালু করবে। প্রাথমিক অবস্থায় এ রুটে সপ্তাহে ৩টি ফ্লাইট পরিচালনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিমান। সোমবার রাজধানীর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর এলাকায় বিমানের যানবাহন শাখায় আয়োজিত নতুন গ্রাাউন্ড ইকুইপমেন্ট কমিশনিং ও যানবাহন প্রদর্শনী-২০২৪ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
বিমান এমডি বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের প্রতিষ্ঠান করেন। একইসঙ্গে গ্রাউন্ড হ্যান্ডলার হিসেবে বিমান আত্মপ্রকাশ করে। বিমান জিএসই বিভাগের বহরে ২৯৩টি আধুনিক গ্রাউন্ড সাপোর্ট ইকুপমেন্ট রয়েছে। হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তৃীয় টার্মিনালের গ্রাউন্ড টার্মিনালের হ্যান্ডলিং এর জন্য আগামী ৬ মাসের মধ্যে আরো শতাধিক বিভিন্ন ধরনের আধুনিক নতুন মডেলের গ্রাউন্ড সাপোর্ট ইকুইপমেন্ট যুক্ত হচ্ছে বিমানর জিএসই বিভাগে। বিমান যানবাহন উপবিভাগে ঢাকাসহ অভ্যন্তরীণ স্টেশনগুলোতে বিভিন্ন ধরনের ৫৩ সেডান কার, ৬৩ মাইক্রো বাস, তিনটি পাঁজারো জিপ, ছয়টি পিক-আপ ভ্যান, দুইটি অ্যাম্বলেন্স ৪টি মোটরসাইকেল ও একটি মিনিবাস রয়েছে।
উল্লেখ্য, অব্যাহত লোকসানের কারণেই ২০১৫ সালের এপ্রিলে রোম রুটের সরাসরি ফ্লাইট বন্ধ করে দেয় বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস। চালু থাকা অবস্থায় বহরে থাকা বোয়িং ৭৭৭ ইআর উড়োজাহাজ দিয়ে ফ্লাইটটি পরিচালিত হতো। আসন সক্ষমতার তুলনায় গড়ে ৪০ শতাংশের বেশি যাত্রী না মেলায় সে সময় প্রতি ফ্লাইটে বিমান লোকসান দিত প্রায় এক কোটি টাকা।
জানা গেছে, সর্বশেষ সমীক্ষা অনুযায়ী, ২০২২ সালের ১ জানুয়ারি পর্যন্ত ইতালিতে নিয়মিতভাবে বসবাস করছেন এক লাখ ৫০ হাজার ৬৯২ জন বাংলাদেশি। যাদের অনেকেই বছরে একাধিকবার বাংলাদেশে আসা যাওয়া করেন। তবে ঢাকা ইতালি রুটে সরাসরি ফ্লাইট না থাকায় ট্রানজিটের মাধ্যমে এত বিপুল বাংলাদেশি যাত্রী পরিবহন করে আসছে মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক এয়ারলাইনসগুলো।
খাত সংশ্লিষ্ট বলছেন, ঢাকা থেকে রোমে সরাসরি ফ্লাইট না থাকায় মধ্যপ্রাচ্যে ট্রানজিটের কারণে যাত্রীদের ভ্রমণে বেশি সময় ব্যয় হচ্ছে। অন্যদিকে বিদেশি এয়ারলাইনসগুলোর মাধ্যমে দেশ থেকে চলে যাচ্ছে বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা।
এ ব্যাপারে বিমান এমডি শফিউল আজিম বলেন, বাজার যাচাই করে দেখা গেছে ইতালিতে বসবাসকারী বাংলাদেশি ছাড়াও বাংলাদেশ থেকে বিভিন্ন কাজে যাওয়া-আসা মিলিয়ে এ রুটে বছরে ৩ লাখের বেশি যাত্রী রয়েছে। ফলে এটি হবে বিমানের রেডি মার্কেট। আমাদের টার্গেট থাকবে এই রুটের প্রবাসীদের সর্বোচ্চ সবোর্চ্চ সেবাদান নিশ্চিত করা।