সমাজে বঞ্চিত লাঞ্ছিত মানুষদের মধ্যে শীর্ষে রয়েছেন হিজরা স¤প্রদায়। তারা প্রতিনিয়তই জীবিকার তাগিদে মানুষের দ্বারে দ্বারে ঘুরে বেড়ায়। মানুষ নানান বৎসনা সহ্য করে তারা। দিনের পর দিন এভাবে চলতে পারে না। তাই সাংবিধানিক অধিকার এবং সমমর্যাদা দেয়ার দাবি করেন তারা।
গতকাল মঙ্গলবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে অনুষ্ঠিত মানববন্ধন কর্মসূচী থেকে এ দাবি করা হয়। সিবিও-বাংলাদেশ এর প্রধান মেছবাহ ইউ আহমদ পরিচালনায় বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলার কর্মরত সিবিও প্রধানগন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। সিরাজগঞ্জের অগ্রগামী,নেত্রকোনার স্বপ্ন ছোয়া, যশোরের অর্পণ, সিলেটের আশার আলো,ধামরাই-এর সাদা কালো, কুমিল্লার অগ্নিবীনা সংগঠনসরুহের নেতৃবৃন্দর্ উপস্থিত ছিলেন।
এ সময় মানববন্ধনে উপস্থিত হিজরারা বলেন, আমরা গুটি কয়েক বাংলাদেশী নাগরিক আজ আপনাদের সামনে সংবিধান প্রতিটি বাংলাদেশী নাগরিকের সমমর্যাদার কথা বলেছে , যেখানে সংবিধান শুধু মানুষ হিসেবে মর্যাদা দেয়ার কথা বলছে সেখানে এক ব্যক্তি কি করে মানুষকে শুধু যৌনতার ভিত্তিতে বিচার করতে বসেছে? রাষ্ট্র প্রতিটি নাগরিকের প্রতি সম্মান দায়বদ্ধতা। যারা রাষ্ট্রের সম্পদ প্রকাশ্যে তীব্র অবজ্ঞায় ছিঁড়ে ফেলে- তাদের বিরুদ্ধে কি রাষ্ট্রদ্রোহী মামলা হবে না? তারা বলেন, ধানমন্ত্রী যেখানে বলেছেন তৃতীয় লিঙ্গের হয়ে কেউ জন্ম নিলে সে পরিবারের সম্পদ পাবে। প্রধানমন্ত্রী এও বলেছেন- ইসলাম ধর্মেও বলা আছে, সে সম্পদের অংশ পাবে। কেউ যদি একটু মেয়েলী স্বভাবের হয় সে মেয়ের অংশ এবং পুরুষের মত হলে সে পুরুষর অংশই পাবে। আমাদের ধর্মেও এমন নির্দেশনা আছে। তাই তারা বলেন,আগামীতে কোন সন্তান এভাবে পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন হবে না। সকল হিজড়াই পরিবারের একজন -এটা আমাদের মনে রাখতে হবে। কারন আল্লাহর সৃষ্টির উপর কারো কোন হাত দেওয়ার সুযোগ নেই। সুতরাং, আসুন প্রতিটি মানুষকে তার মনুষ্যত্ব দিয়ে বিচার করি, যৌনতার মাপকাঠিতে নয়। হিজড়া নেতৃবৃন্দ বলেন, আমরাও মানুষ, শুধু মানুষের মর্যাদা নিয়েই বেঁচে থাকতে চাই। চাই সামাজিক মর্যাদা ও সহমর্মিতা।