সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে নাবিক কল্যাণ তহবিল ও ট্রাস্টি বোর্ডের মাধ্যমে কন্ট্রিবিউটরি প্রভিডেন্ট ফান্ড গঠন, কর্মস্থলে ও দুুর্ঘটনায় মৃত্যুজনিত ক্ষতিপূরণ ১০ লাখ টাকা নির্ধারণসহ ১১ দফা দাবিতে বরিশালে বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিল করেছে নৌযান শ্রমিকরা। গতকাল সোমবার বেলা ১১টা থেকে নদী বন্দর থেকে শুরু হয়। এসময় বিক্ষোভ মিছিলটি নগরীর বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে পুনরায় নদী বন্দরে গিয়ে শেষ হয়।
বাংলাদেশ লঞ্চ লেবার অ্যাসোসিয়েশন বরিশাল অঞ্চলের সভাপতি মাস্টার আবুল হাসেমের সভাপতিত্বে বক্তার বলেন, সরকার থেকে তাদের মজুরি কাঠামো ঘোষণা দেয়া হলেও মালিকরা তা মানছে না। তাছাড়া বাজার দর উর্ধ্বগতির ফলে বর্তমানে যে মজুরি দেয়া হয় তা দিয়ে দিন চালানো যায় না। অপরদিকে কর্মস্থলে দুর্ঘটনা ঘটলে মালিক বা সরকারি কোন সহায়তা তারা পান না। তাই এমন ১১ দফার দাবিতে তারা আন্দোলন করছেন। দাবি না মানলে রাত বারোটা ১ মিনিটের পর থেকে অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘটে যাবেন। নিয়োগপত্র-পরিচয়পত্র-সার্ভিস বুক প্রদানের গৃহীত সিদ্ধান্ত অবিলম্বে বাস্তবায়ন এবং কর্মস্থলে দুর্ঘটনায় মৃত্যুজনিত ক্ষতিপূরণ ১০ লাখ টাকা নির্ধারণ করাসহ তাদের দেওয়া ১১ দফা দাবি বাস্তবায়ন না হলে লাগাতার কর্মবিরতি পালন করবে শ্রমিকরা হুঁশিয়ারি দেয়। তবে সরকার যদি বিষয়টি সমাধানের উদ্যোগ নেন তবে তারা কর্মবিরতি থেকে সরে আসবেন বলেও জানান।
বাংলাদেশ লঞ্চ লেবার অ্যাসোসিয়েশন বরিশাল অঞ্চলের সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলামসহ বাংলাদেশ নৌযান শ্রমিক ফেডারেশনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ, বরিশাল নদী বন্দর থেকে ঢাকা, চাঁদপুর, নোয়াখালীর ল²ীপুর ছাড়াও বিভাগের অভ্যন্তরীণ ২০ টিরও বেশি রুটে লঞ্চ চলাচল করে।