দুর্নীতির মামলায় চাকরিচ্যুত পুলিশের ডিআইজি মিজানুর রহমানকে দেওয়া ১৪ বছরের সাজা বহাল রেখেছে হাইকোর্ট। বিশেষ জজ আদালতের দেওয়া সাজার রায়ের বিরুদ্ধে তার করা আপিল খারিজ করে দিয়ে গতকাল বুধবার এই রায় দিয়েছেন বিচারপতি মো. কামরুল হোসেন মোল্লার একক হাইকোর্ট বেঞ্চ। রায়ে ডিআইজি মিজানকে বিশেষ আদালতের করা জরিমানা এবং রাষ্ট্রের অনুক‚লে সম্পদ বাজেয়াপ্তের আদেশও বহাল রাখা হয়েছে।
রায়ের পর দুদক কৌসুলি খুরশীদ আলম খান সাংবাদিকদের বলেন, এই রায়ের ফলে ডিআইজি মিজানের ১৪ বছরের সাজা বহাল রইল। উচ্চ আদালতের এই রায় কার্যকরে আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে। তিনি বলেন, দুর্নীতির মামলায় এতবড় উচ্চ পদস্থ পুলিশ কর্মকর্তার সাজা আগে কখনো হয়েছে কিনা আমার জানা নাই।
২০১৯ সালের ২৪ জুন দুদক ডিআইজি মিজানসহ চারজনের বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয় বহিভর্‚ত সম্পদ ও অর্থ পাঁচারের মামলা করে। মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে তিন কোটি ২৮ লাখ ৬৮ হাজার টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন ও তিন কোটি সাত লাখ পাঁচ হাজার টাকার সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগ আনা হয়। এই মামলায় গত বছরের ২১ জুন ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৬ এর বিচারক মঞ্জুরুল ইমাম রায় দেন। রায়ে মিজানুর রহমানসহ তার স্ত্রী সোহেলিয়া আনার ওরফে রতœা রহমান, ছোট ভাই মাহবুবুর রহমান ও ভাগ্নে মাহমুদুল হাসানকে বিভিন্ন মেয়াদে দন্ড দেয়া হয়। রায়ে মিজানকে দুদক আইনের ২৬(২) ধারায় তিন বছর, ২৭(১) ধারায় ছয় বছর এবং মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে পাঁচ বছরের কারাদন্ড দেওয়া হয়। সবগুলো সাজা একত্রে চলবে বলে রায়ে উল্লেখ করা হয়। এই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করেন তিনি। আপিলের পক্ষে আইনজীবী মাহবুব শফিক ও পারভীন সুলতানা এবং দুদকের পক্ষে মো. খুরশীদ আলম খান শুনানি করেন।