বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধি প্রত্যাহারের জন্য সরকারের প্রতি দাবি জানিয়েছেন সংসদের বিরোধী দলীয় চিফ হুইপ ও জাতীয় পার্টির (জাপা) মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু। গতকাল মঙ্গলবার সংসদে অনির্ধারিত আলোচনায় অংশ নিয়ে এই দাবি জানিয়ে তিনি বলেছেন, নিত্যপণ্যের দামের সীমাহীন ঊর্ধ্বগতিতে জনগণ এমনিতেই নিষ্পেষিত। তারা
খুব অসহনীয় জীবনযাপন করছেন। নির্বাচনের মাত্র এক মাস পরেই সরকার এখন বিদ্যুতের মূল বাড়িয়ে জনগণের ওপর জগদ্দল পাথরের মতো চেপে বসেছে।
মুজিবুল হক চুন্নু বলেন, মানুষ দুর্বিষহ অবস্থার মধ্যে আছে। বাজারে গেলে সাধারণ মানুষ দ্রব্যমূল্যের কারণে হিমশিম খাচ্ছে। এর কোনো নিয়ন্ত্রণ নেই। সরকারের পক্ষ থেকে তেমন কোনো সুপারভিশনও নেই। এই অবস্থার মধ্যে মাত্র নির্বাচনটা গেল, এরমধ্যেই সরকার বিদ্যুতের দাম প্রতি ইউনিটে ৩৪ থেকে ৭০ পয়সা বৃদ্ধি করেছে। গ্যাসের দামও বাড়িয়েছে। কারণটা বলেছে ডলারের ডিভ্যালুয়েশন এবং ভর্তুকি কমানো। প্রশ্ন হলো আপনারা দাম বাড়াবেন, ভদ্রভাষায় বলছেন সমন্বয়। মানে বৃদ্ধি কথাটাও সরকার বলে সমন্বয় করা, আসলে মূল্যবৃদ্ধি।
তিনি বলেন, আমরা জানি না বিদ্যুতের ইউনিট প্রতি সরকারের উৎপাদন বা কিনতে খরচ কত হয় গড়ে। সবসময় বলে আসছে হাজার-হাজার কোটি টাকা ভর্তুকি দেওয়া হচ্ছে, ভর্তুকি কমাতে হবে। আগামী তিন বছরে ৪৩ হাজার কোটি টাকা ভর্তুকি কমাবেন। কমাবেন, কমান। কিন্তু কীভাবে কমাবেন? জনগণ নিষ্পেষিত, বাজারে যেতে পারছে না। বেকারত্ব বৃদ্ধি পাচ্ছে। বিদ্যুতের দাম বাড়া মানে এর সাথে অনেক জিনিসপত্রের দাম বৃদ্ধি পাবে। কারণ বিদ্যুতের সাথে অনেক জিনিসের উৎপাদন জড়িত।
বিরোধী দলীয় চিফ হুইপ বলেন, গ্যাসের দাম বৃদ্ধি করেছেন। গাজীপুর ও নারায়ণগঞ্জসহ অনেক ফ্যাক্টরি যেগুলো গ্যাসনির্ভর সেখানে গ্যাস দিতে পারছেন না সার্বক্ষণিক। সেখানে আবারও গ্যাসের দাম বৃদ্ধি করেছেন। তিনি বলেন, সরকারকে অনুরোধ করবো অন্ততপক্ষে গ্যাসের এবং বিদ্যুতের দামটা এ মুহূর্তে বৃদ্ধি করবেন না। সরকার একটা স্থিতিশীল অবস্থায় আসুক, মানুষ একটা স্থিতিশীল অবস্থায় আসুক, ইকোনমি একটা নরমাল অবস্থায় আসুক, তখন চিন্তা করেন। এখন অন্তত চিন্তাটা বাদ দেন।