চট্টগ্রাম নগরীর চান্দগাঁও আবাসিক এলাকার ‘শিক্ষাশালা’ নামের কোচিং সেন্টারে ধর্ষণের শিকার এসএসসি পরীক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে। গত রবিবার সকাল সাড়ে ৯টায় দিকে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের আইসিইউতে তার মৃত্যু হয়।
ঘুমের ওষুধ খেয়ে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লে ১৫ ফেব্রæয়ারি তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল।
পুলিশ জানায়, ঐ ছাত্রীকে হাসপাতালে ভর্তি করার পর তার বাবা চান্দগাঁও থানায় মামলা করেন। ধর্ষণের অভিযোগে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের মামলায় আসামি করা হয় কোচিং সেন্টারের শিক্ষক কক্সবাজারের পশ্চিম মহেশখালীর বাবুল মিয়ার ছেলে হামিদ মোস্তফা জিসানকে (২১)। ছাত্রী অন্তঃসত্ত¡া ছিল। ১৭ ফেব্রæয়ারি শিক্ষককে গ্রেপ্তার করে একদিনের রিমান্ড শেষে কারাগারে পাঠানো হয়।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক মো. জসিম উদ্দিন সাংবাদিকদের জানান, ঘুমের ওষুধ খেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়ায় ধর্ষিতাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। তাই জবানবন্দি নেয়া যায়নি। চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়েছে।
মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, ঐ শিক্ষার্থী কয়েক মাস ধরে চান্দগাঁও আবাসিক এলাকার ১১ নম্বর রোডের শিক্ষাশালা কোচিং সেন্টারে প্রাইভেট পড়ে আসছে। এই সুযোগে কোচিং সেন্টারের শিক্ষক ও মামলার আসামি জিসান তাকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে গত বছরের ১৭ ডিসেম্বর কোচিং সেন্টারের ভেতরে ধর্ষণ করে। এসময় আপত্তিকর ছবিও ধারণ করা হয়। পরবর্তীতে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে বিভিন্ন স্থানে নিয়ে তার সাথে কয়েক দফা শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করে। এক পর্যায়ে ঐ শিক্ষার্থী অসুস্থবোধ করলে তাকে চমেক হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাকে অন্তঃসত্ত¡া বলে জানান।