বাংলাদেশ ইনল্যান্ড ওয়াটার ট্রান্সপোর্ট অথরিটির (বিআইডবিøউটিএ) যুগ্ম পরিচালক যুগ্ম পরিচালক আলমগীর কবীরের দাবিকৃত ২০ লাখ টাকা না দেয়ায় এক ঘাট ইজারাদারকে আমিনবাজার ল্যান্ডিং স্টেশনের সীমানা বুঝিয়ে দেয়া হয়নি। বিআইডবিøউটিএ’র ওই যুগ্ম পরিচালক তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রও করছেন। গতকাল শনিবার সকালে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স এসোসিয়েশন মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে এই অভিযোগ করেন আমিনবাজার ল্যান্ডিং স্টেশনের ইজারাদার রাজু আহমেদ। এ সময় আলমগীর হোসেনসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।
লিখিত বক্তব্যে রাজু আহমেদ জানান, ২০২১ সালের জুলাই মাস থেকে এক বছরের জন্য ২ কোটি ৫ লাখ ৩ হাজার ১’শত টাকায় আমিনবাজার ল্যান্ডিং স্টেশন ঘাট ইজারা নেন তিনি। ওই সময় করোনা মহামারি, গাবতলী-আমিনবাজার রোডের নতুন ব্রিজ নির্মাণ ও আরসিসি জেটি নির্মাণের কারণে ওই বছর ৯৫ লাখ ৬৬ হাজার ৫’শত ২০ টাকা লোকসানের সম্মুখীন হন। পরে ঢাকার ৩য় যুগ্ন জেলা জজ আদালতে একটি মামলা করেন। আদালত নতুন করে ঘাটটি ইজারা না দিতে স্থিতাবস্থার আদেশ প্রদান করেন। আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী তিনি নির্ধারিত ভ্যাট-ট্যাক্স যথা সময়ে পরিশোধ করেন। কিন্তু পরবর্তীতে বিআইডবিøউটিএ’র বন্দর ও পরিবহন বিভাগের যুগ্ম পরিচালক আলমগীর কবীর তার কাছে ২০ লাখ টাকা ঘুষ দাবি করেন। ওই ঘুষ দিতে রাজি না হওয়ায় যুগ্ম পরিচালক ঘাট থেকে ইজারাদারকে বিতাড়িত করে নতুন কাউকে ঘাট দেয়ার হুমকি প্রদান করেন। পরে ওই ঘাটের ৬ হাজার ফুট এলাকা তাকে বুঝিয়ে না দিয়ে ওই সীমানার অংশ বেআইনিভাবে আরেকজনকে ইজারা প্রদান করে। এতে করে তিনি প্রতিদিন প্রায় ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা করে ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন। এতে তিনি মোট এক কোটি ২৫ লাখ টাকা ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছেন। এ ব্যাপারে বিআইডবিøউটিএ’র সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করেন।
অভিযোগ প্রসঙ্গে বিআইডবিøউটিএ’র বন্দর ও পরিবহন বিভাগের যুগ্ম পরিচালক আলমগীর কবীরের সাথে একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তার মোবাইল নাম্বারটি বন্ধ পাওয়া যায়।