জাতীয় পার্টির (জাপা) স্বঘোষিত ‘চেয়ারম্যান’ রওশন এরশাদ বলেছেন, জয়লাভের সম্ভাবনা ছিল- জাপার এমন অনেককে এবারের নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন দেওয়া হয়নি। অসংখ্য নেতাকর্মী ও প্রার্থীদের বিপদে রেখে আমি নির্বাচনে যেতে পারি না। আমার ছেলের (সাদ) আসন যদি কেড়ে নেওয়া হয়, তাহলে আমি কী নির্বাচনে যেতে পারি? নিশ্চয়ই না। তারপরও আমি সবকিছু মেনে নিতে পারতাম- যদি নির্বাচনে জাপার ভরাডুবি না হতো। জাপাকে ধ্বংসের শেষ সীমানায় পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। এটা আমি কীভাবে মেনে নেবো? তিনি গতকাল শনিবার তার উদ্যোগে রাজধানীর কাকরাইলে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইস্টিটিউশন মিলনায়তনে আয়োজিত বর্ধিত সভায় সভাপতির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
রওশন বলেন, সাংবিধানিকভাবে দেশে একটি সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। নতুন সরকার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এই সরকারের সামনে অনেক চ্যালেঞ্জ। অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে অশনি সংকেত শোনা যাচ্ছে। সরকার যদি তা মোকাবেলা করতে না পারে- তাহলে দেশে বড় বিপর্যয় নেমে আসতে পারে। তিনি বলেন, রমজানকে সামনে রেখে অসাধু ব্যবসায়ীরা ওঁৎ পেতে পেতে বসে আছে। এক্ষেত্রে সরকারের প্রধান কাজ হবে- দ্রব্যমূল্য সহনীয় পর্যায়ে রাখতে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া।
তিনি বলেন, এরশাদের অস্তিত্বকে যারা মুছে দিতে চায়-তারা জাপার পরিচয় দেওয়ার অধিকার রাখে না। দলের এবারের নির্বাচনি ইশতেহারের মলাট থেকে এরশাদের ছবি মুছে ফেলা হয়েছে। এবার নির্বাচনে পার্টির প্রার্থীদের পোষ্টারে তার ছবি ব্যবহার করতে দেওয়া হয়নি। এটা জাপার অগণিত নেতা-কর্মীর মনে আঘাত দিয়েছে, হৃদয়ে রক্তক্ষরণ হয়েছে। এই পরিস্থিতি থেকে পার্টিকে উদ্ধারের জন্য আমি দলের চেয়াম্যানের দায়িত্ব গ্রহণ করতে বাধ্য হয়েছি।
রওশন এরশাদ আরো বলেন, আগামী ৯ মার্চ জাপার দশম জাতীয় সম্মেলন হবে। এই সম্মেলনের বিরুদ্ধে অনেক ষড়যন্ত্র হতে পারে। কোনো ষড়যন্ত্র ও বিভ্রান্তিতে কান দেবেন না। সম্মেলনের জন্য রমনায় ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন বরাদ্দ নেওয়া হয়েছে, পুলিশের অনুমতি পাওয়া গেছে। সভায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা, শফিকুল ইসলাম সেন্টু, গোলাম সারোয়ার মিলন, সুনীল শুভ রায়, আবুল কাশেম সরকার, জাহাঙ্গীর আলম পাঠান, আব্দুল গাফফার বিশ্বাস প্রমুখ।