প্রতারণার একটি মামলায় ট্রান্সকমের ৫ কর্মকর্তাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। ট্রান্সকমের পরিচালক শাযরেহ হক তার বড় বোন সিমিন রহমান, তার মা ও ছেলেকেও আসামি করেছেন বলে জানা গেছে। গ্রæপটির পরিচালক শাযরেহ হকের করা প্রতারণা মামলার পরিপ্রেক্ষিতে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন ট্রান্সকমের আইন উপদেষ্টা ফখরুজ্জামান ভ‚ঁইয়া, করপোরেট ফাইন্যান্সের পরিচালক মো. কামরুল হাসান, করপোরেট ফাইন্যান্সের পরিচালক আব্দুল্লাহ আল মামুন, ব্যবস্থাপক আবু ইউসুফ মো. সিদ্দিক ও অ্যাসিস্ট্যান্ট কোম্পানি সেক্রেটারি মোহাম্মদ মোসাদ্দেক।
পুলিশ জানায়, বৃহস্পতিবার দুপুরে ট্রান্সকমের পরিচালক শাযরেহ হক গুলশান থানায় মামলা করেন। এ বিষয়ে গুলশান থানার ওসি মাজহারুল ইসলাম বলেন, ট্রান্সকমের প্রতিষ্ঠাতা প্রয়াত লতিফুর রহমানের এক মেয়ে শাযরেহ হক বাদী হয়ে গুলশান থানায় মামলা করেন। ট্রান্সকম গ্রæপের ১০০ কোটি টাকা আত্মসাৎ, সম্পত্তি দখল এবং অবৈধভাবে কোম্পানির শেয়ার হস্তান্তর করার অভিযোগ এনে শাযরেহ হক এই মামলা করেছেন।
তিনি আরও জানান, এই মামলার অন্যতম আসামি হচ্ছেন বাদী শাযরেহ হকের বড় বোন সিমিন রহমান। পরে মামলাটি উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের আদেশে পিবিআইয়ে হস্তান্তর করা হয়।
এ বিষয়ে পিবিআইয়ের বিশেষ পুলিশ সুপার জাহাঙ্গীর আলম জানান, গুলশান থানার মামলার প্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ৫ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ট্রান্সকমের প্রতিষ্ঠাতা প্রয়াত লতিফুর রহমানের বড় মেয়ে সিমিন রহমানের বিরুদ্ধে ছোট মেয়ে শাযরেহ হকের দায়ের করা প্রতারণা মামলায় তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
দেশের অন্যতম বড় ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান হিসেবে পরিচিত ট্রান্সকম গ্রæপ। এর অধীনে পরিচালিত কোম্পানিগুলোর মধ্যে এসকেএফ ফার্মাসিউটিক্যালস, ট্রান্সকম বেভারেজেস, ট্রান্সকম ডিস্ট্রিবিউশন, ট্রান্সকম কনজিউমার প্রডাক্টস, ট্রান্সকম ফুডস, ট্রান্সকম ইলেকট্রনিকস, ট্রান্সক্রাফট ও মিডিয়া স্টার অন্যতম।