সেদ্ধ চাল রপ্তানিতে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার যে ২০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছিল, তা পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে বলে জানানো হয়েছে। গত বছরের আগস্ট মাসে ভারতের বাজারে সরবরাহ ও দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে চাল রপ্তানিতে ২০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার। তখন বলা হয়েছিল, চলতি বছরের মার্চ মাসের ৩১ তারিখ পর্যন্ত এই শুল্ক জারি থাকবে। কিন্তু বুধবার জানানো হলো, পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত এই শুল্ক জারি থাকবে। ইকোনমিক টাইমসের প্রতিবেদন অনুসারে, চাল রপ্তানিতে ২০ শতাংশ রপ্তানি শুল্ক অনির্দিষ্টকাল জারি থাকবে বলে ভারতের অর্থ মন্ত্রণালয় গতকাল জানিয়েছে।
এদিকে সম্প্রতি ভারতে ছড়িয়ে পরেছে যে, পেঁয়াজ রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হচ্ছে। এর জেরে ভারতের বৃহত্তম পেঁয়াজ বাজার মহারাষ্ট্রে পাইকারি বাজারে মাত্র দুই দিনের মধ্যে পেঁয়াজের দাম ৪০ শতাংশের বেশি বেড়ে যায়। ১৭ ফেব্রæয়ারি প্রতি কুইন্টাল পেঁয়াজের দাম ছিল ১ হাজার ২৮০ রুপি; ১৯ ফেব্রæয়ারি তা ১ হাজার ৮০০ রুপিতে উঠে যায়। এ বিষয়ে ভারতের কেন্দ্রীয় ক্রেতা সুরক্ষা সচিব রোহিত কুমার সিংহ ভারতের গণমাধ্যমকে বলেছেন, পেঁয়াজের রপ্তানি নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা হয়নি এবং সেই ব্যবস্থায় পরিবর্তনও আনা হয়নি।
সামগ্রিকভাবে পেঁয়াজ রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা থাকলেও বাংলাদেশসহ ছয় দেশে সীমিত পরিমাণে পেঁয়াজ রপ্তানি করবে বলে জানিয়েছে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার। ভারতীয় গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, এসব দেশে সরকারি পর্যায়ে (জিটুজি) পেঁয়াজ রপ্তানি করা হবে। তবে কী পরিমাণে পেঁয়াজ রপ্তানি হবে, কিংবা কবে থেকে রপ্তানি হবে, সে ব্যাপারে ভারতীয় গণমাধ্যম কিছু জানাতে পারেনি। যেসব দেশে ভারত পেঁয়াজ রপ্তানি করবে সেই দেশগুলো হলো বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কা, মরিশাস, বাহরাইন, ভুটান ও নেপাল।