যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে ৩৫ কোটি ডলার (প্রায় চার হাজার কোটি টাকা) জরিমানা করেছে দেশটির একটি আদালত। ট্রাম্প এই জরিমানার অর্থ পরিশোধ করতে ব্যর্থ হলে তার সম্পদ জব্দ করা হবে বলে জানিয়েছেন নিউইয়র্কের অ্যাটর্নি জেনারেল লেটেশিয়া জেমস। এ ব্যাপারে পদক্ষেপ নিতে তিনি প্রস্তুত বলে এবিসি নিউজকে জানিয়েছেন। এক সাক্ষাৎকারে লেটিশিয়া জেমস বলেন, যদি ট্রাম্পের কাছে রায় অনুসারে জরিমানা দেওয়ার মতো তহবিল না থাকে, তাহলে আমরা রায় কার্যকর করার জন্য আদালতের পদক্ষেপ চাইব এবং আমরা বিচারককে তার সম্পদ জব্দ করতে বলব।
সম্পত্তির মূল্য সম্পর্কে মিথ্যা তথ্য দেওয়ার অপরাধে গত ১৬ ফেব্রæয়ারি ট্রাম্পকে ৩৫ কোটি ৪৮ লাখ ডলার জরিমানা করে নিউ ইয়র্কের একজন বিচারক। তবে সুদসহ এই অংক দাঁড়াতে পারে ৪৫ কোটি ডলারে। নিউ ইয়র্ক রাজ্যের কোনো ব্যাংক থেকে পরবর্তী তিন বছরের জন্য ঋণ নেওয়ার বিষয়েও ট্রাম্পের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছেন বিচারক আর্থার এনগোরন। পাশাপাশি ট্রাম্প তার কোম্পানির পরিচালকও থাকতে পারবেন না বলে আদেশ দেওয়া হয়েছে। তবে ট্রাম্প সব অভিযোগ অস্বীকার করে জানিয়েছেন তিনি এই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করবেন।
আটর্নি লেটিশিয়া জেমস বলেন, আপিলে তার মামলার শক্তির বিষয়ে তিনি আত্মবিশ্বাসী। তাই ট্রাম্পের সম্পত্তি জব্দ করতে তিনি দ্বিধা করবেন না। এ সময় তিনি ট্রাম্পের ৪০ ওয়াল স্ট্রিট আকাশচুম্বী ভবনটির কথা উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, নিউ ইয়র্কবাসীদের পক্ষে দেওয়া রায় কার্যকরে আমি প্রস্তুত। আমি প্রতিদিন ৪০টি ওয়াল স্ট্রিট দেখি। ট্রাম্পের অভিযোগের পাল্টা জবাবে জেমস বলেন, মামলাটিতে কোনো ভুক্তভোগীর অভাব ছিল না, আর তার মামলাটি আর্থিক বাজারগুলোর নিউ ইয়র্কবাসীদের সঙ্গে ন্যায় আচরণ নিশ্চিত করার জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
তিনি বলেন, আর্থিক জালিয়াতি শিকারহীন অপরাধ নয়। ট্রাম্প এই বিপুল পরিমাণ জালিয়াতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন। এটি কেবল একটি সাধারণ ভুল ছিল না, আর জালিয়াতির পরিমাণ ছিল বিস্ময়কর। মামলাটি নিউইউর্কে ব্যবসায়িক কর্মকান্ডকে ব্যাপকভাবে নিরুৎসাহিত করবে ট্রাম্পের এমন অভিযোগকও প্রত্যাখ্যান করেছেন জেমস। তিনি বলেন, নিউইয়র্কে পর্যটন বেড়েছে, ওয়াল স্ট্রিটও ভালো করছে।
বেশ কিছু মামলায় অভিযুক্ত ডোনাল্ড ট্রাম্প আগামী প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রিপাবলিকান দলের প্রার্থী হওয়ার দৌঁড়ে এগিয়ে রয়েছেন। দলের ভেতর তার একমাত্র প্রতিদ্ব›দ্বী হলেন সাউথ ক্যারোলিনার সাবেক গভর্নর নিকি হ্যালি। ট্রাম্পের সঙ্গে মনোনয়নের লড়াইয়ে পিছিয়ে থাকলেও তিনি প্রচারণা চালিয়ে যাবেন বলে জানিয়েছেন।