কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফ থেকে পৃথক ভাবে এক মহিলাসহ দু’জনের মরদেহ উদ্ধার করেছে
পুলিশ। তবে মহিলার পরিচয় পাওয়া যায়নি। অপর এক জেলে নাফ নদীতে মাছ ধরতে গিয়ে ১৮দিন
নিখোঁজ ছিল। নিহত জেলে মোস্তাফিজুর রহমান(৪৫) উখিয়ার পালংখালি ৯ নম্বর ওয়ার্ডের আঞ্জুমানপাড়ার মৃত আব্দুস সালামের ছেলে।
রবিবার রাত ১১ টার দিকে উখিয়ার থাইংখালি রহমতের বিল নাফনদীর বেড়িবাঁধের পাশে চিংড়ি ঘের
থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে। অপরদিকে সোমবার ১৯ ফেব্র“য়ারি দুপুর ১২ টার দিকে টেকনাফের
হোয়াইক্যং- শাপলাপুরের পাহাড়ি সড়ক থেকে অজ্ঞাত এক মহিলার মরদেহ উদ্ধার করছে পুলিশ।
নিহত মোস্তাফিজুর রহমানের ছেলে মোস্তাফা কামাল বলেন,মিয়ানমার রাখাইন রাজ্য চলা সংঘর্ষের
সময় গত ১ ফেব্রæয়ারি আমার বাবা নাফনদীতে মাছ ধরতে গিয়ে ছিলো,পরে একটি সশস্ত্র গ্রæপ তাকে
অপহরণ করেছে শুনলাম। এরপর থেকে আমার বাবা নিখোঁজ ছিল।
নিখোঁজ ১৮ দিন পর স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পেয়ে রবিবার রাত ১১ টার দিকে থাইংখালি রহমতের
বিল নাফনদীর বেড়িবাঁধের পাশে চিংড়ী ঘের থেকে আমার বাবার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।পরবর্তীতে
বাড়ি নিয়ে আসি।
উখিয়ার থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ শামীম হোসাইন বলেন,নিখোঁজ জেলে
মোস্তাফিজুর রহমানের মরদেহ সোমবার সকালে তার বাড়ি থেকে উদ্ধার করার পর সুরতহাল রিপোর্ট
তৈরি করে ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ বিষয়ে আইনগত
ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন বলে ওসি জানায়।
অপরদিকে টেকনাফ মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ ওসমান গনি বলেন, সোমবার
দুপুরের দিকে স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর আসে হোয়াইক্যং-শামলাপুর সড়কের পাশে এক মহিলার
মরদেহ পড়ে রয়েছে। এমন খবর পেয়ে হোয়াইক্যং পুলিশ ফাঁড়ি একটি টিম ঘটনাস্থলে পৌঁছে লাশের
সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করে ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালে প্রেরণ করেন।তবে
লাশের পরিচয় পাওয়া যায়নি। পরিচয় সনাক্তে কাজ চলমান রয়েছে বলে তিনি জানান।