ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার হাবিবুর রহমান বলেছেন, রমজানে দ্রব্যমূল্য সাধারণ মানুষের ক্রয়সীমার মধ্যে রাখতে রোজার আগেই ডিএমপির ভ্রাম্যমান আদালত কাজ শুরু করবে। এজন্য আমরা যথাযথ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি। রমজান শুরুর আগেই আমরা কার্যক্রম শুরু করব। গতকাল বুধবার দুপুরে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (ক্র্যাব) কার্যালয়ে সংগঠনটির সাবেক সভাপতি ও দৈনিক যুগান্তরের সিটি এডিটর কবি মিজান মালিকের তৃতীয় কাব্যগ্রন্থ ‘মায়াতন্ত্র’র মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
ক্র্যাবের সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলামের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশ শিশু একাডেমির মহাপরিচালক আনজীর লিটন, ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সহ-সভাপতি ও সাবেক ক্র্যাব সভাপতি মধুসূদন মÐল, ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি শুকুর আলী শুভ, ক্র্যাবের সভাপতি মো. কামরুজ্জামান খান, ঢাকাস্থ চাঁদপুর জেলা সাংবাদিক ফোরামের সাধারণ সম্পাদক শাহরিয়ার পলাশ, মায়াতন্ত্র বইয়ের প্রকাশক শ্রাবণ প্রকাশনীর কর্ণধার রাবিদ হাসান প্রমুখ।
প্রধান অতিথি ডিএমপি প্রধান বলেন, রমজানে দ্রব্যমূল্য যাতে নিয়ন্ত্রণে থাকে এবং কারও কারসাজির জন্য যাতে বাজারে কোনো অস্থিতিশীল পরিবেশ তৈরি না হয় সেজন্য সরকারের বিভিন্ন দপ্তরের কর্তৃপক্ষ থেকে বিভিন্ন ব্যবস্থা নিয়েছে। আমাদের দেশে ভোক্তা অধিকার অধিদপ্তর তৈরি করা হয়েছে, তারা সুন্দরভাবে কাজ করছে। ডিএমপিসহ সারাদেশে যোগাযোগ রেখেছি এবং সর্বাত্মকভাবে কাজ করে যাচ্ছি। এই রমজান মাসে কোনো কুচক্রী মহল যেনো বাজার অস্থিতিশীল না করতে পারে সেজন্য আমরা তাদের সাথে সমন্বয় করে কাজ করব।
মায়াতন্ত্র বইয়ের মোড়ক উন্মোচন বিষয়ে ডিএমপি কমিশনার বলেন, এই কাব্যগ্রন্থের কবি মিজান মালিক একজন পেশাদার শিক্ষক বা পেশাদার সাংবাদিক হয়েই থাকতে পারতেন। কিন্তু তিনি কখনো সেখানে সীমাবদ্ধ থাকেননি। তিনি যেগুলো কাজ করেন সবগুলো জ্ঞানচর্চার বিষয়। তিনি দীর্ঘদিন ধরে কবিতা গান ও ছোটগল্প লিখে আসছেন। নতুন যে বইটি প্রকাশ করেছেন তার নাম দিয়েছেন মায়াতন্ত্র। মায়া বলতে সহজে আমরা ভালোবাসা এবং ফিলিংসকে (অনুভ‚তি) বুঝি । আজ (গতকাল) বিশ্ব ভালোবাসা দিবস। মায়া হারিয়ে যাওয়া মানে ভালোবাসা হারিয়ে যাওয়া। সবার প্রতি সবার যেন মায়া বজায় থাকে, আমরা সবাই মিলে যেন একটি মানবিক দেশ গঠন করতে পারি, সে লক্ষেই আমাদের সবার কাজ করতে হবে।
মায়াতন্ত্র কাব্যগ্রন্থের লেখক কবি মিজান মালিক বলেন, মায়া, ভালোবাসা একবার ছিটকে পড়লে মানুষ খুবই নিষ্ঠুর হয়ে যায়, সেই জায়গা থেকে মায়াতন্ত্র বইটি লেখা। আশা করছি, গল্প ছাড়া মলাট (মিজান মালিকের আরেকটি কাব্যগ্রন্থ) বইয়ের মত মায়াতন্ত্রও ভালো লাগবে। ক্র্যাব সভাপতি মো. কামরুজ্জামান খান বলেন, ক্রাইম রিপোর্টাররা শুধু ক্রাইম রিপোর্টিংয়ে সীমাবদ্ধ না থেকে কবিতা ও সাহিত্যে অবদান রাখছে মিজান মালিক তার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত।