সদরের আমির হোসেন হত্যা মামলায় সুমন হোসেন নামে এক আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড ও ১০ হাজার টাকা অর্থদন্ড দিয়েছেন জয়পুরহাটের একটি আদালত। বুধবার দুপুরে জয়পুরহাটের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ ২য় আদালতের বিচারক মোঃ আব্বাস উদ্দীন এ রায় ঘোষনা করেন। রায় ঘোষনার পর পুলিশ পাহারায় সাজাপ্রাপ্ত আসামি সুমন হোসেনকে জয়পুরহাট জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে। যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি সুমন হোসেন হচ্ছেন জয়পুরহাট সদর উপজেলার পলিকাদোয়া গ্রামের নুরুননবীর ছেলে ।
আদালত ও মামলা সূত্রে জানা গেছে, মামলার আসামি সুমন হোসেন পলিকাদোয়া গ্রামের মেয়ে জোসনা বেগমকে বিয়ে করে শ^শুর বাড়িতে (ঘরজামাই) স্ত্রীকে নিয়ে বসবাস করতেন। ওই গ্রামের আমির হোসেন ঘরজামাই থাকাকে কেন্দ্র করে সুমন হোসেনকে তুচ্ছতাচ্ছিল করে কথা বলে আসছিলেন দীর্ঘদিন ধরে। এ নিয়ে সুমনের সঙ্গে আমির হোসেনের মনোমালিন্য সৃষ্টি হবার পাশাপাশি তাদের মধ্যে দুরত্বও বাড়ে। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ২০০৮ সালে ২৬ আগষ্ট সকাল সাড়ে ৭ টার দিকে বিষয়টা মিমাংসা করার জন্য সুমন হোসেনের শ^শুর সুজাউল ইসলামের বাড়িতে যান আমির হোসেন । সেখানে আগে থেকেই ক্ষিপ্ত থাকায় সুমন হোসেন , আমির হোসেনকে দেখামাত্র তার সঙ্গে তর্কে লিপ্ত হন। এ সময় সুমন হোসেন কথা কাটা কাটির এক পর্যায়ে আমির হোসেনকে কিলঘুষি মারতে থাকেন। এতে আমির হোসেন মাথায় আঘাত প্রাপ্ত হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। স্থানিয় লোকজন মাথায় পানি ঢালতে ঢালতে কিছুক্ষণ পর ঘটনাস্থলেই মারা যান আমির হোসেন । নিহত আমির হোসেন পলিকাদোয়া গ্রামের মহিম উদ্দীনের পুত্র ।
এ ঘটনায় নিহত আমির হোসেনের স্ত্রী জোসনা বেগম বাদি হয়ে জয়পুরহাট সদর থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এস আই ফারুখ খলিল ২০০৮ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। এ মামলায় স্বাক্ষ্য প্রমান শেষে আদালত দীর্ঘ ১৬ বছর পর এই মামলার আসামি সুমন হোসেনকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড ও ১০ হাজার টাকা অর্থদন্ড প্রদান করে রায় ঘোষনা করেন। মামলায় রাষ্ট্র পক্ষের আইনজীবী ছিলেন এপিপি এ্যাড: উদয় চন্দ্র সিংহ ও আসামী পক্ষে ছিলেন এ্যাড: হেনা কবির ও এ্যাড: ইতি খাতুন।