রাজধানীর শ্যামপুর এলাকা থেকে মকবুল হোসেন (৩৭) নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে গত রবিবার অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করা হয়। র্যাব বলছে, গ্রেপ্তারকৃত ব্যক্তি গত শনিবার ঢাকার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের আব্দুল্লাহপুর এলাকার রসুলপুর জামি’আ ইসলামিয়া মাদরাসা ও এতিমখানার নাজেরা বিভাগে অধ্যয়নরত ছাত্র তাওহীদ ইসলামকে অপহরণের পর খুন করে। এর পরেও ভুক্তভোগীর পরিবারকে ছেলে ফিরিয়ে দেয়ার নামে ৩ লাখ টাকা মুক্তিপণ আদায় করে পালিয়ে যায়।
গতকাল সোমবার দুপুরে মাদ্রাসা ছাত্র অপহরণের পর হত্যার ঘটনায় ঘাতককে গ্রেপ্তারের বিষয়ে রাজধানী কাওরান বাজারের র্যাব মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সংবাদ সম্মেলনে র্যাব লিগ্যাল এন্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, মাদ্রাসা ছাত্র তাওহিদুল ইসলামের বাসার পাশেই বসবাস করতো ঘাতক। রাজমিস্ত্রি হওয়ায় অপহৃতের বাসায় ভবন নির্মানের কাজ করার সময় ঘাতক ব্যক্তি বুঝতে পারেন ভুক্তভোগীরা আর্থিকভাবে সচ্ছল। এর পর থেকেই প্রায় ৬ মাস ধরে মাদ্রাসা ছাত্রকে অপহরণের পরিকল্পনা করে আসছিল সে। এরই ধারাবাহিকতায় গত শনিবার বাড়ি ফেরার সময় তাওহীদকে হাত-পা ও মুখ বেধে অপহরণ করে বাসার কাছেই নির্জন স্থানে ফেলে রাখে। তবে অপহরণকারীকে চিনে ফেলাসহ মুখের বাধন খুলে যাওয়ায় চিৎকার করলে ভুক্তভোগী মাদ্রাসা ছাত্রকে ঘাতক তার পরিহিত মাফলার দিয়ে শ্বাস রোধ করে হত্যা করে। এক পর্যায়ে লাশ গুম করতে ওই এলাকারই একটি সেইফটি ট্যাংকে মরদেহ ফেলে পালিয়ে যায় ওই ব্যক্তি। এর পরেও অপহৃতের পরিবারকে ফোন দিয়ে ৩ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবী করে তা আদায় করে। তিনি বলেন, যদিও গত শনিবার ছেলে বাসায় না ফেরায় ভুক্তভোগী মা থানায় ও র্যাব বরাবর অভিযোগ করেছিল। এর পরিপ্রেক্ষিতেই আমরা মাদ্রাসা ছাত্রকে খুঁজতে গোয়েন্দা নজরদারী বাড়াই। একপর্যায়ে ঘাতককে গ্রেপ্তার করতে পারলেও ভুক্তভোগী মাদ্রাসা ছাত্রকে আর জীবিত উদ্ধার করা যায়নি। এক প্রশ্নের জবাবে কমান্ডার মঈন বলেন, এ অপহরণ পরিকল্পিত। কারন অপহরণের টাকা দাবীর জন্য ঘাতক অনেদিন আগেই ২টি নতুন মোবাইলফোন কিনেছিলো। পরিকল্পনানুযায়ী অব্যবহৃত ১টি মোবাইল সে আগেই সবার অজান্তে ভুক্তভোগীর বাসায় রেখে এসেছিলো। ওই মোবাইলে ফোন করেই টাকা চায় সে। পূর্বশত্রæতা বা অন্য কারন নয় শুধু টাকার জন্য অপহরণ করা হয় বলে আমরা ধারনা করছি।