অর্থনীতিতে সংকট থাকলেও বাংলাদেশ তা কাটিয়ে উঠছে। ধীরে ধীরে উন্নতি করছে বলে উল্লেখ করেছেন অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী। সোমবার সচিবালয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) প্রতিনিধি, ফ্রান্স সরকারের জলবায়ুবিষয়ক বিশেষ দূত স্টিফেন ক্রোজা ও আন্তর্জাতিক কৃষি উন্নয়ন তহবিলের (আইএফডি) কান্ট্রি ডিরেক্টর আর্নড হেমলিয়ারসের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
অর্থমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ দেউলিয়া হয়ে যায়নি; সংকট আছে, সমাধানের চেষ্টাও আছে। আমরা সঠিক পথে ফিরেছি, অবস্থার উন্নতি হচ্ছে। কিন্তু নতুন মন্ত্রিসভা গঠিত হওয়ার পর রাতারাতি সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে, তা নয়, সে জন্য কিছুটা সময় লাগবে। আলোচনার বিষয়বস্তু জানতে চাইলে অর্থমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে আন্তর্জাতিক কৃষি উন্নয়ন তহবিলের (আইএফডি) কার্যক্রম চালু আছে। তারা নতুন নতুন আইডিয়া নিয়ে আসছে, সেগুলো নিয়েই আলোচনা হয়েছে। প্রতি বছরই আমাদের সঙ্গে আলোচনা হয়। এ বছর ইনোভেশন (উদ্ভাবন) বিষয়ে বাংলাদেশসহ অন্য সবার সঙ্গে তাদের আলোচনা হয়েছে। আইএফডি বলেছে তারা আরও কো-অপারেশন চায়, সে দিক থেকে বাংলাদেশের প্রত্যাশা কী, জানতে চাইলে তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশে এখন অনেক ধরনের সমস্যা আছে। এর মধ্যে মার্কেটিং একটি সমস্যা। কৃষকের কাছ থেকে পণ্য ঢাকায় আসতে আসতে এটা মধ্যস্বত্বভোগীদের হাতে চলে যায়। এটি একটা বড় সমস্যা। আমরা চিন্তাভাবনা করছি কীভাবে এটিকে পরিবর্তন করা যায়। মন্ত্রী বলেন, আমরা কোনো নিদিষ্ট দেশের ওপর নির্ভরশীল নই। কিন্তু আমরা সবার সঙ্গে পরামর্শ করে কাজ করি, আইডিয়া নিই, বড় করি। আর্থিকভাবে বিভিন্ন পার্টনার আমাদের সহায়তা করে।
এডিবি ও ফ্রান্সের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠকের বিষয়ে তিনি বলেন, বাংলাদেশ তো এখন ভালো করছে। তবে আমরা সমস্যা থেকে একেবারে বের হয়ে গেছি, তা কিন্তু নয়। এডিবি নতুন কোনো কমিটমেন্ট করেছে কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, নিশ্চয়ই করেছে, তারা তো বাংলাদেশকে সাহায্য করছে। তা চলতে থাকবে। একটি কথা অনেকেই বলে, বাংলাদেশ দেউলিয়া হয়ে গেলো। না, বাংলাদেশ কোথায় দেউলিয়া? এতো বড় একটি দেশ দেউলিয়া হতে পারে না। আমাদের রিজার্ভ উন্নতি করছে। আমরা ট্র্যাকে ফিরলাম কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, হ্যাঁ আমরা ট্র্যাকে ফিরলাম। অবশ্যই, আমি এটি আগেও বলেছি। বাংলাদেশ এখন ঊর্ধ্বমুখী, সম্ভাবনার বাংলাদেশ, সেই ট্র্যাকেই আমরা ফিরে এসেছি।
আইএফডি কান্ট্রি ডিরেক্টর আরন্ড হ্যামিলাস সাংবাদিকদের জানান, বাংলাদেশে সাতটি প্রকল্পে ইফাদের ২০০ কোটি মার্কিন ডলারের প্রকল্প চলমান। পাশাপাশি দেশের প্রান্তিক কৃষকদের উৎপাদিত পণ্য বাজারজাতকরণে সহায়তার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।