ঢাকার সাভারে অভিযান চালিয়ে শুক্কুর আলী ওরফে সোহেল ওরফে সোহাগ নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। গত রবিবার অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করা হয়। র্যাব বলছে, গ্রেপ্তারকৃত ব্যক্তি গত ২০০২ সালে কর্তব্যরত আনসার সদস্যকে গুলি করে হত্যার দায়ে মৃত্যুদÐাদেশপ্রাপ্ত ও পুলিশ সদস্যকে হত্যাচেষ্টার দায়ে যাবজ্জীবন কারাদÐপ্রাপ্ত পলাতক আসামী। দীর্ঘ ১৮ বছর ধরে পালিয়ে ছিলো সে।
গতকাল সোমবার দুপুরে রাজধানীর কারওয়ান বাজারের র্যাব মিডিয়া সেন্টারে র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, গত ২০০২ সালের ১২ মার্চ রাজধানী মোহাম্মদপুরের শ্যামলী এলাকায় ছিনতাইকারীদের গুলিতে কর্তব্যরত অবস্থায় আনসার সদস্য ফজলুল হক গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যায়। এছাড়াও একই ঘটনায় এক পুলিশ সদস্য গুরুতর জখম হয়। পরে এ ঘটনায় পুলিশ কনস্টেবল আকমান হোসেন বাদী হয়ে রাজধানীর মোহাম্মদপুর থানায় সন্ত্রাসী শুক্কুর আলীসহহ ৩ জনের নামে একটি হত্যা মামলা করেন। এর পরই আসামিরা আত্মগোপনে চলে যায়। পরবর্তীতে পুলিশ তাদের গ্রেপ্তার করে আদালতে সোপর্দ করে। এরপর শুক্কুরসহ গ্রেপ্তার বাকি আসামিরা সাড়ে ৩ বছর কারাভোগের পর জামিনে মুক্ত হয়ে আবার আত্মগোপনে চলে যায়। এদিকে মামলার তদন্ত শেষে ২০০৩ সালের ৩১ মার্চ আদালতে অভিযোগপত্র জমা হয়। মামলার বিচার কাজ শেষে ২০১৯ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর ৩ আসামিকে মৃত্যুদÐাদেশ দেন আদালত। একই মামলায় পুলিশ কনস্টেবল আবদুল জলিল ফরাজীকে হত্যাচেষ্টার দায়ে আসামি শুক্কুর আলী ওরফে সোহেলকে যাবজ্জীবন কারাদÐ ও ১০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে ৬মাস সশ্রম কারাদÐে দÐিত করেন আদালত।
র্যাব কর্মকর্তা বলেন, পলাতক আসামীদের গ্রেপ্তারে দীর্ঘদিন ধরেই র্যাব নজদারী চালিয়ে আসছে। এরই ধারাবাহিকতায় গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে রাজধানীর সাভার এলাকায় অভিযান চালিয়ে শুক্কুর আলীকে র্যাব-১০ একটি দল গ্রেপ্তার করে।
তিনি আরো বলেন, শুক্কুর আলী ১০ বছর বয়স থেকেই বিভিন্ন অপরাধের সাথে জড়িয়ে পড়ে। পরবর্তীতে সে রাজধানীর মোহাম্মদপুরসহ রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় ছিনতাই, ডাকাতি, হত্যা, অপহরণ ও মাদক ব্যবসাসহ বিভিন্ন সন্ত্রাসী কার্যক্রম করতো বলে জানা যায়। শুক্কুর আলী এর আগে মাদক সংক্রান্ত মামলায় প্রায় ৪ বছর, অস্ত্র সংক্রান্ত মামলায় প্রায় ৫ বছর ও অপহরণসহ বিভিন্ন মামলায় বিভিন্ন মেয়াদে কারাভোগ করেছে বলে জানা যায়। তার বিরুদ্ধে দেশের বিভিন্ন থানায় অস্ত্র, ডাকাতি ও মাদকসহ বিভিন্ন অপরাধে ১৫টির বেশী মামলা রয়েছে বলে জানা যায়। এক প্রশ্নের জবাবে কমান্ডার মঈন বলেন, এ সন্ত্রাসী দলের নেতৃত্বে থাকা কয়েকজন বন্দুক যুদ্ধে নিহত হয়েছে। তারপর আবার যারা নেতৃত্বে এসেছিলো তাদের কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আসলে এ ধরণের সন্ত্রাসী গ্রæপগুলোর নতুন-নতুন নেতৃত্ব আসে। এখন যদি আবার কেউ এ দলের নেতৃত্বে আসে তাহলে তাদেরও আইনের আওতায় আনা হবে।