আরেকটি অবিস্ফোরিত মর্টার শেল উদ্ধার
আগের উদ্ধার করা মর্টার শেল নিষ্ক্রিয় করল সেনাবাহিনী
বাংলাদেশের ওপারে মিয়ানমান সীমান্ত টানা দুইদিন শান্ত থাকার পর কক্সবাজারের টেকনাফের জিম্বংখালী সীমান্তের ওপারে মিয়ানমারের অভ্যন্তরে বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে ব্যাপক গোলাগুলি ও মর্টার শেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটেছে। দিবাগত রাত ১২ টার পর থেকে থেমে থেমে রাত ৩ টা পর্যন্ত বিস্ফোরণের শব্দে কেঁপে ওঠে টেকনাফ সীমান্ত। এতে সাধারণ মানুষের মাঝে আতংক ছড়িয়ে পড়ে।
এদিকে, বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম সীমান্তে একদিনের ব্যবধানে আরও একটি মর্টার শেল উদ্ধার করা হয়েছে। শুক্রবার দুপুরে ঘুমধুম ইউনিয়নের তুমব্রæ পশ্চিমক‚ল এলাকা থেকে এটি উদ্ধার করা হয়। এর আগে বৃহস্পতিবার দুপুরে ঘুমধুমের নোয়াপাড়া এলাকা থেকে একটি অবিস্ফোরিত মর্টার শেল উদ্ধার করা হয়।
স্থানীয়রা জানান, শুক্রবার দুপুরে তমব্রæ পশ্চিমক‚ল বিজিবি ক্যাম্পের কাছাকাছি এলাকার ধানক্ষেতে কাজ করতে গিয়ে একটি মর্টার শেল দেখতে পেয়ে প্রশাসনকে খবর দেন স্থানীয়রা। পরে বিজিবির সদস্যরা ঘটনাস্থলে এসে সেটি নিজেদের হেফাজতে নেয়।স্থানীয় পথচারী সাইফুল ইসলাম জানান বাড়ী থেকে বাজারে যাওয়ার পথে অবিস্ফোরিত মর্টারের গোলাটি দেখতে পান।
নাইক্ষ্যংছড়ি থানার ওসি জানান, ধানক্ষেতে কাজ করতে গিয়ে মর্টার শেল দেখতে পেয়ে খবর দিলে বিজিবি সদস্যরা ঘটনাস্থল থেকে সেটি নিজেদের হেফাজতে নেন।
নাইক্ষ্যংছড়ি থানার ওসি জানান, ধানক্ষেতে কাজ করতে গিয়ে মর্টার শেল দেখতে পেয়ে খবর দিলে বিজিবি সদস্যরা ঘটনাস্থলটি ঘিরে রাখে।
নোয়াপাড়ায় পরিত্যক্ত অবস্থায় উদ্বার করা অবিস্ফোরিত মর্টারের গোলাটি নিষ্ক্রিয় করেছে সেনা বোমা বিশেষজ্ঞ দলের সদস্যরা। শুক্রবার সকাল সাড়ে ১১ টার দিকে রামু সেনানিবাস থেকে আসা সেনা বোমা বিশেষজ্ঞ দল এই অবিস্ফোরিত মর্টারের গোলাটি নিষ্ক্রিয় করে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন স্থানীয় ইউপি সদস্য দিল মোহাম্মাদ ভুট্টো।
শুক্রবার সকাল থেকে টেকনাফ সীমান্তের ওপার থেকে মাঝে মধ্যে থেমে থেমে গোলাগুলির শব্দ পাওয়া যায়। স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান জাহাংগীর আজিজ জানান, সীমান্ত পরিস্থিতি আপাতত শান্ত। তবে বিভিন্ন জায়গায় পরিত্যক্ত অবিস্ফোরিত গোলা পড়ে থাকায় শংকিত রয়েছেন জনগণ। এ কারণে যারা ক্ষেতে কাজ করতে যাচ্ছেন-তাদেরকে প্রশাসনের পক্ষ থেকে কাজ করার সময় সতর্ক থাকার প্রচারণা করা দরকার।
টেকনাফের হোয়াইক্যং ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান নুর আহমদ আনোয়ারী বলেন, হোয়াইক্যংয়ের উনচিপ্রাং সীমান্তের ওপারে রাতে গোলাগুলি ও মর্টার শেলের শব্দ শোনা গেছে। এতে সীমান্তের পাশের গ্রামগুলো কেঁপে ওঠে। আতঙ্কে ৩০টি পরিবার সীমান্তের ঘর ছেড়ে আত্মীয়স্বজনের বাড়িতে চলে গেছেন।
হ্নীলা ইউপি চেয়ারম্যান রাশেদ মাহমুদ আলী বলেন, হ্নীলার কাস্টমস সীমান্তে ব্যাপক মর্টার শেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় আশপাশের গ্রামগুলো কেঁপে ওঠে।
উখিয়ার পালংখালী ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান এম গফুর উদ্দিন চৌধুরী বলেন, শুক্রবার সকাল থেকে উখিয়ার সীমান্ত শান্ত রয়েছে।
নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম ইউপি চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আজিজ গতকাল শুক্রবার বলেন, সীমান্ত পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। অনেক দিন পর মানুষ শান্তিতে ঘুমিয়েছে।