ঢাকার দুই সিটি কর্পোরেশনের মেয়রের কাছে দাবি জানিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, আমাদের ট্রাফিকরা সার্জেন্টরা ভয়ানক অসুবিধায় থাকেন। তাদের জন্য যদি মাঝে মাঝে বিশ্রামের একটু জায়গা করে দেন। এতে ডিএমপি আরও এগিয়ে যাবে, তাদের সেবার পরিধি বাড়াবে। আরও দক্ষতার সঙ্গে সবকিছু মোকাবিলা করবে এ আস্থা ও বিশ্বাস রাখি। গতকাল বৃহস্পতিবার রাজারবাগ পুলিশ লাইন্সে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) ৪৯তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
এর আগে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, ডিএনসিসির আওতায় প্রত্যেকটি পুলিশ বক্সে টয়লেট, পানি ও বসার ব্যবস্থা করা হবে। পুলিশ বক্স করার জন্য ১০ কোটি টাকা বাজেট করা হয়েছে। আমরা প্রত্যেকটি পুলিশ বক্স আধুনিক করে দেবো।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ ৫০টি থানা, ৩৪ হাজার জনবল নিয়ে ঢাকাবাসীর নিরাপত্তায় কাজ করে যাচ্ছে। বাংলাদেশ পুলিশের মোট জনবল দুই লাখ ১০ হাজারের বেশি। প্রত্যেক পুলিশ ৮২৫ জন মানুষকে নিরাপত্তা দিচ্ছে। ডিএমপির যতগুলো ইউনিট আছে সবগুলো সুন্দরভাবে কাজ করে যাচ্ছে। জঙ্গিবাদের উত্থান হয়েছিল সেজন্য আমরা কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিট গঠন করি। আমরা সাইবার ইউনিট তৈরি করেছি, ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টার গড়ে তুলেছি ও ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণের জন্য ট্রাফিক ইউনিট করেছি, যা ডিএমপির কমিশনারের অধীনে কাজ করে যাচ্ছে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, এই জায়গায় এসে মনে হয় সেই দিনের (২৫ মার্চ) কথা। বঙ্গবন্ধু ৭ মার্চে যে ডাক দিয়েছিলেন, সেই ডাকে পুলিশ বাহিনী নিজের জীবন বাজি রেখে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছিল। অনেক পুলিশ সদস্য সেদিন শহীদ হয়েছিলেন।
আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, ২০ বছর আগে পুলিশের কথা যদি চিন্তা করি, সেই সময় মানুষ পুলিশকে ভয় পেতো। আজ পুলিশের ওপর আস্থা, বিশ্বাস রাখছে, কোনো প্রয়োজন হলে মানুষ পুলিশের কাছে যাচ্ছে। কোভিডের সময় আপনারা দেখেছেন মায়ের মরদেহ সন্তান ফেলে রেখে গেছে। পুলিশই তাদের শেষ কার্যটি করেছে। কাজেই পুলিশ এমনই একটি আস্থার জায়গায় এসেছে, আমরা মনে করি বিপদে-আপদে সবসময় আমাদের পাশে আছে। ডিএমপিও সেই কাজটিই করছে ঢাকা নগরীর জন্য।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. মোস্তাফিজুর রহমান এবং বাংলাদেশ পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন। অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার হাবিবুর রহমান।